বুধবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন আলম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদহে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিহত তরুণীর নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। হাসপাতালের কেউ তাকে চিনতেও পারছে না। তরুণীর আনুমানিক বয়স ২০ থেকে ২৫ হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
এদিকে উপস্থিত পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে আর যেখান থেকে ওই তরুণী পড়ে মারা গেছে, সেটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়া যায় না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মেয়েটিকে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে কিংবা অন্য কোথাও মেরে এখান থেকে ফেলা রাখা হয়েছে।
ঘটনার পরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন ও স্থানীয় উৎসক জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা জানায়, একের পর এক ঘটনা ঘটছে ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।
গত কয়েক মাস আগেই এই হাসপাতালের লিফট রুমের নিচ থেকে মধ্য বয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জিপি