ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বিয়ে করে বিপাকে ছেলে ও তার পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৫, মার্চ ২৮, ২০১৮
বিয়ে করে বিপাকে ছেলে ও তার পরিবার বিয়ের প্রমাণপত্র।

রাজশাহী: অসম প্রেমের পর বিয়ের রোষানলে পড়েছে পুঠিয়ার এক পরিবার। মেয়ে পক্ষের মামলা থেকে রেহাই পায়নি ছেলের বাবা, দুলাভাই ও খালতো ভাইও।

বর্তমানে মামলার ভয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাই ঘরছাড়া, স্কুলশিক্ষক খালাতো ভাই রয়েছেন বিপাকে। নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধেও দেওয়া হয়েছে অপহরণের মামলা!

স্থানীয়রা জানায়, রিপনের বয়স ১৮ বছর।

তিনি বানেশ্বর কলেজ এইচএসসি’র ছাত্র এবং রিতুর বয়স ২০ বছর। তিনি বানেশ্বর কলেজ অনার্স রাষ্টবিজ্ঞানের ছাত্রী। একই এলাকায় পাশাপাশি থাকায় তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রিতুপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও রিপন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। গত ১৮মার্চ বানেশ্বর কলেজে রিপনের পরীক্ষার পর তাদের দু’জনকে কলেজমাঠে দুপুরবেলা একসঙ্গে দেখে সহপাঠীরা।

ওইদিনই বিকেল থেকে রিপন ও রিতু লাপাত্তা। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ওরা দু’জন একসঙ্গে পালিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের পর থেকে মেয়ের ভাই এ স্বজনরা রিপনের পরিবারের ওপর চড়াও হয়। তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করেন।

রিপনের পরিবারের অভিযোগ, রিপনের বোনের ছয় মাসের সন্তানের গলায় হাসুয়া ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। বাঁচার তাগিদে তারা বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে কাছের আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতে মেয়ের ভাই এবং চাচারা রিপনের বাড়ি এবং পার্শ্বের হাকিমের বাড়িতে হামলা চালায়। এরই মধ্যে দু’জনের পরিবার জানতে পারে রিতু ও রিপন ১৯ মার্চ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। ২০মার্চ রিতুর বাবা পুঠিয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরদিন রিতুর ভাই ও চাচারা হামলা চালিয়ে রিপনের বাবা আব্দুল করিম ও চাচাতো ভাই রাজমহলকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

রিপনের খালাতো ভাই মাজেদুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। ঘটনার দিন এবং এর পরের দিনগুলোতে নিয়মিত তিনি স্কুলে গেছেন। যার প্রমাণ স্কুলের হাজিরা সিট। তারপরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকেও হয়রানি করা হচ্ছে। এবিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।

এদিকে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মেয়েপক্ষ থেকে মামলা দিয়েছে, পুলিশ তা গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। মেয়ে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন, তাহলে আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিলেই হবে যে তিনি স্বেচ্ছায় গেছেন, কেউ তাকে অপহরণ করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।