বর্তমানে মামলার ভয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাই ঘরছাড়া, স্কুলশিক্ষক খালাতো ভাই রয়েছেন বিপাকে। নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধেও দেওয়া হয়েছে অপহরণের মামলা!
স্থানীয়রা জানায়, রিপনের বয়স ১৮ বছর।
ওইদিনই বিকেল থেকে রিপন ও রিতু লাপাত্তা। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ওরা দু’জন একসঙ্গে পালিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরের পর থেকে মেয়ের ভাই এ স্বজনরা রিপনের পরিবারের ওপর চড়াও হয়। তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করেন।
রিপনের পরিবারের অভিযোগ, রিপনের বোনের ছয় মাসের সন্তানের গলায় হাসুয়া ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। বাঁচার তাগিদে তারা বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে কাছের আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাতে মেয়ের ভাই এবং চাচারা রিপনের বাড়ি এবং পার্শ্বের হাকিমের বাড়িতে হামলা চালায়। এরই মধ্যে দু’জনের পরিবার জানতে পারে রিতু ও রিপন ১৯ মার্চ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। ২০মার্চ রিতুর বাবা পুঠিয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরদিন রিতুর ভাই ও চাচারা হামলা চালিয়ে রিপনের বাবা আব্দুল করিম ও চাচাতো ভাই রাজমহলকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
রিপনের খালাতো ভাই মাজেদুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। ঘটনার দিন এবং এর পরের দিনগুলোতে নিয়মিত তিনি স্কুলে গেছেন। যার প্রমাণ স্কুলের হাজিরা সিট। তারপরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকেও হয়রানি করা হচ্ছে। এবিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।
এদিকে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মেয়েপক্ষ থেকে মামলা দিয়েছে, পুলিশ তা গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। মেয়ে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন, তাহলে আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দিলেই হবে যে তিনি স্বেচ্ছায় গেছেন, কেউ তাকে অপহরণ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসএস/এএটি