বুধবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ কথা জানান কুখ্যাত ছিনতাইকারী মির্জা আতিক।
আদালতে আতিকের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল।
দুই মোটরসাইকেলে তারা চারজন রিকশার গতিরোধ করে। ছিনতাইকালে বাধা দেওয়ায় মাহিদের উরুতে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
হত্যাকাণ্ডের পর ২৬ মার্চ (সোমবার) সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চার ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের চাচা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল বাদী হয়ে আতিক, রিপনসহ চারজনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
পরে বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে মির্জা আতিক ও তায়েফ আহমদ রিপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মির্জা আতিক সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলা ৬১ নং বাসার মির্জা মকবুলের ছেলে। তায়েফ আহমদ রিপন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলীর ছেলে। বর্তমানে সে নগরীর কাজিরবাজার পুলিশ স্টাফ কোয়াটারে থাকেন।
গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে তারা ছিনতাই করতে গিয়ে মাহিদকে হত্যার বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় মির্জা আতিক আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেও তায়েফ আহমদ রিপন স্বীকার না করায় তার ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি খায়রুল ফজল আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অপর দুই ছিনতাইকারীর নাম বলেছে মির্জা আতিক। তাদের গ্রেফতার ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি এবং মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা রওয়ানা হওয়ার পথে নগরী সংলগ্ন দক্ষিণ সুরমায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহিদ আল সালাম। তিনি নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার প্রয়াত অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের ছেলে ও শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এনইউ/জেডএস