বুধবার (২৮ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এ ফোনালাপ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আইজি প্রিজন ইফতেখার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিব মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথমদিন কারাগারের চারটি বুথ থেকে পর্যায়ক্রমে চার বন্দিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে ১০ মিনিট করে কথা বলেন। এরা হচ্ছেন- কারাবন্দি সদর উপজেলার চাকতা গ্রামের শাহাদত হোসেন, ঘাটাইলের সাজ্জাত হোসেন ও আসাদুল ইসলাম, মধুপুর উপজেলার জটাবাড়ি গ্রামের লাভলু মিয়া।
জেলা কারাগার সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ জেলের সহায়তায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওয়তায় বন্দিরা (হাজতি ও কয়েদি) কারাগারে আসার পর তাদের কাছ থেকে তাদের স্বজনদের দুটি মুঠোফোন নম্বর রাখা হবে। মাসে একজন বন্দি দু’বার ১০ মিটিন করে কথা বলার সুযোগ পাবেন। কথা বলার ক্ষেত্রে নারী-শিশু ও বৃদ্ধ বন্দিদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
কারাগারের জেলার আবুল বাশার বাংলানিউজকে জানান, নির্ধারিত সময়ে বন্দিরা বুথে ঢুকে এক বা দুই চাপলে সফটওয়্যার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিষ্ট নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় ১০মিনিট পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল কেটে যাবে। সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সতর্কসূচক ‘বিপ’ শ্বব্দ হবে।
নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে কল ডায়াল হবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়েই কল করতে হবে। বন্দিদের স্বজনরা নির্ধারিত সময়ে যাতে কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন, সেজন্য আগের দিন তাদের মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এনটি