বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মল্লিকা বসাক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শিশির কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও গণস্বাস্থ্য গ্রামীণ টেক্সটাইলস লিমিডেট এর নির্বাহী পরিচালক।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য গ্রামীণ টেক্সটাইলস লিমিডেটে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার সময় তাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় রাতেই নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা করেন কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম। এতে শিশিরকে প্রধান আসামি করে বিএনপি-জামায়াতের আরও ১২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম, সাবেক প্রচার সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মহাম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শামছুল আলম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজল খান, শিয়ালকোল ইউনিয়ন জামায়াত নেতা আব্দুস ছালাম ও আব্দুল আওয়াল, শিয়ালকোল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইসহাক আলী, বিএনপি কর্মী আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাই এবং আব্দুল মজিদ।
আটক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম শিশিরকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও) আব্দুস সালাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসআই