‘স্বজনের সাথে সংশোধনের পথে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ফোনে কথা বলার এই কার্যক্রমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বজন পরিবারের বন্ধন। ’
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড ও বাংলাদেশ জেল এর সহায়তায় এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
জেলার আবুল বাশার জানান, কোনো বন্দি সরাসরি বুথে গিয়ে কথা বলতে পারবেন না। নির্ধারিত সময়ে বন্দিরা বুথে ঢুকে এক বা দুই চাপলে সফটওয়্যার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিষ্ট নম্বরে সংযোগ পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় ১০ মিনিট পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল কেটে যাবে। সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সতর্কসূচক ‘বিপ’ শব্দ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে কল ডায়াল হবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়েই কল করতে হবে। বন্দিদের স্বজনরা নির্ধারিত সময়ে যাতে কথা বলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন, সেজন্য আগের দিন তাদের মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এটুআই প্রকল্পের পরামর্শক তানভীর কাদেরের নেতৃত্বে কারাগারে ফোন বুথ ও এর সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধনের পর একজন বন্দির তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার মধ্য দিয়েই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
তানভীর কাদের আরো জানান, কারাগারের যেসব কর্মী এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন, তাদের পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বন্দিরা কারাগার থেকে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে পারলে তাদের পারিবারিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ন থাকবে। তবে বন্দিদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত বন্দিরা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দিদের প্রতিটি কল রেকর্ড করা হবে। এছাড়া বুথে সার্বক্ষণিক কারারক্ষী নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
এসআই