শাহিনের অন্যতম চিকিৎসক এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বলছিলেন, শাহিন খুবই ভদ্র ছিলেন, অনেক সাহস ছিল তার মনে। তার এভাবে মৃত্যু খুবই খারাপ লাগছে।
প্লেন দুর্ঘটনায় আহত শাহিন ঢামেকের বার্ন ইউনিটেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১২ মার্চ প্লেন দুর্ঘটনার পর আহতাবস্থায় নেপালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। ছয়দিন পর সেখান থেকে দেশে এনে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সরকারের তত্ত্বাবধানে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল শাহিনের। সোমবার (২৬ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তারা জানান, শাহিনের তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এজন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। কিন্তু সেফটি সেমিয়ার-এর কারণে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপরও তার সাপোর্ট ঠিকঠাক কাজ করছিলো না। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে।
ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বলেন, শাহিন ব্যাপারীর কথা-বার্তায় খুব জোর ছিল। আমরা চিকিৎসকরা যখন তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে তা কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতাম, ‘আপনি কেমন আছেন?’ তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলতেন, ‘আ রে আমি ভালো আছি, আপনারা কেমন আছেন?’
‘যখনই তার কাছে আমরা গিয়েছি, তখনই তিনি হাসিমুখে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। খুব খারাপ লাগছে তার মৃত্যুতে। ’ বলেন ডা. সাজ্জাদ খন্দকার।
প্লেন দুর্ঘটনায় প্রথমে ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৪৯ যাত্রী নিহত হন। যাত্রীদের মধ্যে শাহিনসহ ১০ বাংলাদেশি বেঁচে যান। কিন্তু শাহিনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়ালো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/
** ‘শাহিন বলেছিল ভয় পাই না, ভালো হয়ে যাবো’