সোমবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি মিঝমিঝি কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে চিরসমাহিত করা হয়।
এর আগে, রাতে তার মরদেহ পাইনাদিতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছানোর পর গোটা সিদ্ধিরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শাহিনের পড়শী জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গেই আমরা চলাফেরা করেছি, তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় আমরা সবার কাছে দোয়া চাইছি।
গত ১২ মার্চ প্লেন দুর্ঘটনার পর আহতাবস্থায় নেপালে চিকিৎসা দেওয়া হয় শাহিনকে। ছয়দিন পর সেখান থেকে দেশে এনে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সরকারের তত্ত্বাবধানে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার।
কিন্তু সোমবার বিকেল পৌনে ৫টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠন করা মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন।
চিকিৎসকরা জানান, শাহিনের তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এজন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। কিন্তু সেফটি সেমিয়ার-এর কারণে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপরও তার সাপোর্ট ঠিকঠাক কাজ করছিলো না। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে।
প্লেন দুর্ঘটনায় প্রথমে ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৪৯ যাত্রী নিহত হন। যাত্রীদের মধ্যে শাহিনসহ ১০ বাংলাদেশি বেঁচে যান। কিন্তু শাহিনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়ালো।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এইচএ/