সোমবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাহাজটি। সকাল থেকেই অনেক মানুষ জাহাজটি দেখার জন্য এসে ভিড় জমায়।
শহরের আক্কাছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ভাল লেগেছে জাহাজাটি দেখে। এটি চাঁদপুরে না আসলে কখনো দেখা সম্ভব হতো না।
আরেক শিক্ষার্থী হাসানুল হক হিমেল বাংলানিউজকে বলেন, অনেক অজানা জিনিস দেখতে পেলাম। যুদ্ধে ব্যবহৃত এবং নৌ-বাহিনীর নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দেখার সুযোগ পেলাম। প্রতিবছর জাতীয় দিবসগুলোতে জাহাজটি আসলে ভাল হবে।
দর্শণার্থী আ. রাইয়ান ও মো. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নৌপথে যুদ্ধের কথা শুনেছি। এই প্রথম যুদ্ধ জাহাজ দেখে খুবই ভাল লাগল। নতুন প্রজন্ম জাহাজটি দেখে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।
ব্যবসায়ী শাজাহান কবির হিমেল বাংলানিউজকে জানান, আমি জাহাজটি দেখে আবেগ আপ্লুত। কারণ এ ধরনের জাহাজে প্রবেশ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এটি দেশ রক্ষার কাজেই শুধুমাত্র ব্যবহৃত হয়। এটি দেখে নতুন প্রজন্ম নৌ-বাহিনীর প্রতি ভাল ধারণা পাবে।
চাঁদপুর জেলা জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে সর্বসাধারণের জন্য এ ধরনের একটি জাহাজ উন্মুক্ত করে দেওয়া নৌ-বাহিনী এবং সরকারের ভালো উদ্যোগ। এটি দেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম ধারণা নিতে পারবে। কারণ জাহাজে দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ শিক্ষার্থীদের জাহাজে রক্ষিত অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
পদ্মা জাহাজের কমান্ডার নেছার আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর এসে অনেক ভাল লেগেছে। কারণ এ জেলার মানুষের জাহাজটি দেখার আগ্রহ দেখে নাবিকরা খুবই গর্বিত। সর্বসাধারাণের মাঝে স্বাধীনতা যুদ্ধে নৌ-বাহিনীর ভূমিকা ও তাৎপর্য তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম পদ্মা ও পলাশ নামে দু’টি যুদ্ধ জাহাজ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয়। বর্তমানে বানৌজা পদ্মা জাহাজটি বাংলাদেশ খুলনা শিপইয়ার্ড লি. কর্তৃক তৈরীকৃত আধুনিক পেট্টোল ক্রাফ্ট। এটি ছয়টি আধুনিক বিমান বিধ্বংসী কামান বহন করে আছে। রাতেই জাহাজটি নিজ গন্তব্য খুলনার উদ্দেশে চাঁদপুর ত্যাগ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এনটি