একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’টি তদন্ত কমিটিকেই আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস পৃথকভাবে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণেই ভবনটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভবনে তিতাস গ্যাসের জইনিং ক্যাপ লাগানো ছিলো না। এ কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে বোম ডিসপোজাল ইউনিট জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এসএ নেওয়াজীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. নায়েরুজ্জামান।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোবারক হোসেন, তিতাস গ্যাসের ডেপুটি ম্যানেজার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী প্রকৌশলী শহীদুর রহমান ও পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নূর আলম।
ডিসি বলেন, এ তদন্ত কমিটিকে আগামী তিনি দিনের মধ্যে তদন্ত প্রদিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরআগে শনিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে ভবনটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ অপু ঘটনাস্থলেই মারা যান। মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহীন, দীপ্ত সরকার ও হাফিজ। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এমএএএম/জিপি