ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

‘বাবা চলো চলো স্মৃতিসৌধে যাবো’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:১৩, মার্চ ২৬, ২০১৮
‘বাবা চলো চলো স্মৃতিসৌধে যাবো’ বাবার কাঁধে চড়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তানিয়া-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: খুব সকালে মেয়ের ডাকে ঘুম ভাঙে আতাউর রহমানের। বাবাকে তাড়া দেয় সে  ‘বাবা চলো চলো স্মৃতিসৌধে যাবো’। মেয়ের আবদার রাখতে ঘুম থেকে উঠে স্মৃতিসৌধে আসেন সাভারের নবীনগরের বাসিন্দা আতাউর।

চার বছরের তানিয়ার দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন বাবা। তবে এটা নতুন কিছু নয়।

প্রতি বছর জাতীয় উৎসবে স্মৃতিসৌধে আসার জন্য বাবার কাছে বায়না ধরে ছোট্ট তানিয়া। দেশের প্রতি মেয়ের এমন ভালোবাসা দেখে খুশি মনেই তিনি তানিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে যান জাতীয় উৎসবগুলোতে।

সোমবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসের সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে মেয়েকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হয়।

আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তানিয়া বরাবরই জাতীয় উৎসবগুলোতে অংশ নিতে ভালোবাসে। টিভিতে সংবাদ দেখে সে বলেছে, ‘বাবা কাল কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে আমাকে নিয়ে যেতে হবে। ’ মেয়ের এমন বায়না আমাকে খুশি করে। এত অল্প বয়সে দেশের প্রতি তার ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হই।

শ্রদ্ধা শেষে বাবার কাঁধে চড়ে বাড়ির পথ ধরেছে তানিয়া। বাংলানিউজকে ছোট্ট তানিয়া বলে, আমি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগে স্বাধীনতা দিবসে আসতে।

স্বাধীনতা দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও। সকাল থেকেই তারা দলে দলে হুইল চেয়ারে করে শহীদ বেদীতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

তাদেরই একজন নিবেদিতা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হাঁটতে পারি না তাতে কি হয়েছে, তাই বলে কি মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো না। আমি প্রতি বছরই এখানে আসি শ্রদ্ধা জানাতে।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাড়তে থাকে মানুষের ঢল। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে তারা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এসএ/এমএসি/এইচএস/আরআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।