কর্মসূচির মধ্যে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য। সোমবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে এবং বয়রাস্থ পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ৬টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এছাড়া বিকেল ৫টায় খুবি মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
খুলনা সরকারি বিএল কলেজ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম। পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, দেশগান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ মার্চ কালো রাতে পাক বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ডে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় বি এল কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
খুলনা প্রেস ক্লাব ভোর ৬টায় গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে এবং বেলা ১১টায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশুর পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এমআরএম/আরআর