বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) গুরুত্বপূর্ণ এই সাইড-ইভেন্টে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সফলভাবে আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ দমন করছে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যাতে বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ।
তিনি বলেন, আমি সারাজীবন ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিবেদিত করেছি। ইসলাম শান্তি, ন্যায় ও সহনশীলতার ধর্ম। ইসলাম জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করে না। আমি বেদনাহত হই যখন দেখি ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মতো ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদ দেশের এক লাখ মুফতি, উলামা ও আইম্মার দস্তখতসম্বলিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতওয়া নরওয়ের উপ-মন্ত্রী মিজ লায়লা বুখারীর কাছে হস্তান্তর করেন।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নরওয়ের উপ-মন্ত্রী মিজ লায়লা বুখারী, জাতিসংঘে নিযুক্ত জর্ডানের স্থায়ী প্রতিনিধি মিজ সীমা সামি বাউজ, জাতিসংঘের কাউন্টার টেরোরিজম টাস্ক ফোর্সের পরিচালক জাহাঙ্গীর খান এবং নরওয়ের খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার মিজ দিয়া খান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এটাই জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাবিরোধী প্রথম কোনো আলোচনা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
আইএ