বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল পৌরসভা ভবনে কাঠ পেন্সিলের কার্য নির্বাহী পরিচালক আব্দুস ছালাম সময় ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আব্দুস ছালাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১১ সাল থেকে তারা বেনাপোল পৌরসভার পক্ষে দুই বাংলার ২১ উদযাপনের মঞ্চসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরিতে চুক্তি বন্ধ হয়ে কাজ করে আসছেন।
এর আগে ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পৃথকভাবে ২১শে মঞ্চ তৈরি করা হতো। কিন্তু এবার চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলার একটি মঞ্চ তৈরি করা হবে। এ মঞ্চের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২১শে মঞ্চ’।
এছাড়া আয়োজনস্থলে ভাষা সৈনিক সব্যসাচী কবি শামসুল হক চত্বর, বর্ণমালা গ্যালারি ও বই মেলার আয়োজন থাকছে। যা ভাষা উৎসবকে প্রাণবন্ত এবং দুই বাংলার মানুষকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে বলে তারা আশাবাদী।
তিনি আরও জানান, গতবারের ২১ আয়োজন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিডিয়া পার্টনার হিসেবে প্রতিটি মুহূর্তের খবর তুলে ধরে ভাষা প্রেমীদের আরও অনুপ্রাণিত করেছিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম।
বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বাংলানিউজকে জানান, এরই মধ্যে তারা ভারত অংশের ২১ উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অনুষ্ঠান স্বার্থক করতে সেখানে একে অপরকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুই বাংলার বিশেষ ব্যক্তিদের ২১ উৎসবে আমন্ত্রণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমি ও ওপারের বনগাঁ ২১ উপযাপন কমিটির প্রচেষ্টায় দুই বাংলার যৌথ ভাষা দিবস উদযাপন হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে বেনাপোল ও বনগাঁ পৌরসভা এ আয়োজন করে আসছে। বছরের এ দিনটার অপেক্ষায় প্রহর গুণতে থাকে দুই সীমান্তের মানুষ। অনুষ্ঠানটি দুই বাংলার হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ০২, ২০১৭
এজেডএইচ/আরবি/আরএ