স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানো জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও এর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টার পাশে ছিলেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ শামন্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর), হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস।
অতিথি সারিতে উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠকালে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত করবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত জুলাইযোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সব আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রে।
এমইউএম