ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

বংশালে ধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৫, আগস্ট ৫, ২০২৫
বংশালে ধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি পুলিশ হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন জন।

ঢাকা: রাজধানীর বংশালে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে করা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বংশাল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রাশেদুজ্জামান (৪২), আলমগীর হোসেন (৬৫) ও আব্দুল জলিল (৬৯)।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বংশাল থানার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভুক্তভোগী গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক বা দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে বংশাল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, দেড় বছর আগে মো. রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে রাশেদুজ্জামান ভুক্তভোগীকে তার বাসায় কাজের প্রস্তাব দেন। প্রথমে রাজি না হলেও ভুক্তভোগী পরে কাজে যোগ দেন। এক সময় রাশেদুজ্জামান তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেন। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বংশালের সাতরওজা এলাকায় তার বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ভিডিও ধারণ করে। এ ভিডিও ব্যবহার করে রাশেদুজ্জামান অন্য গ্রেপ্তারদের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন এবং প্রতিটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে গ্রেপ্তারকৃত রাশেদুজ্জামান। টাকা না দেওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ভুক্তভোগীর গ্রিস প্রবাসী বেয়াইয়ের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয়।

থানা সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (৪ আগস্ট) রাত পৌনে ২টায় সূত্রাপুর থানাধীন রায়সাহেব বাজার এলাকায় মো. রাশেদুজ্জামান ও আলমগীর হোসেনকে এবং রাত আনুমানিক সোয় ২টায় কোতোয়ালি থানাধীন পপুলার হাসপাতালের সামনে থেকে আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিসি তালেবুর রহমান।

এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।