সাভারের আশুলিয়ায় লরির চাপায় নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।
রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তবে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতরা হলেন- রিকশার যাত্রী ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন (৫০), নূরজাহান (২৪) ও তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৪)। তারা সবাই আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় থাকতেন। আহত রিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটি অটোরিকশা বাইপাইল থেকে উল্টো পথে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি লরির সামনে পড়ে রিকশাটি রাস্তার পাশে থাকা পানির গর্তে পড়ে যায়। রিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়লে লরিটির পেছনে চাকা এর ওপর উঠে যায়।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। রিকশাচালক ও শিশুসহ তিনজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা৷ তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি দোকানে ছিলাম, হঠাৎ চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি রিকশাটি উল্টে গেছে, একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী লিটন আহমেদ বলেন, আমি রাস্তা পার হচ্ছিলাম। আমার সামনেই রিকশাটি গর্তে পড়ে উল্টে যায় এবং সামনের দিক থেকে আসা একটি বড় লরির চাকার নিচে পিষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে একজনের মৃত্যু হয়, বাকিদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনজনের মধ্যে একজন শিশু ও একজন নারী ছিল।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রিকশাচালক উল্টো পথে তিনজন যাত্রী নিয়ে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তায় একটি গর্তে পড়ে রিকশাটি উল্টে যায়। ঠিক সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরি রিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন নারী ও শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজন চিকিৎসাধীন আছেন।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও তিনি জানান।
এমজে