ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

৭ শিশু এতটাই পুড়েছে যে শনাক্তই করা যায়নি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২২, জুলাই ২১, ২০২৫
৭ শিশু এতটাই পুড়েছে যে শনাক্তই করা যায়নি সোমবার রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭ জন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও আইএসপিআর বলেছে, নিহতের সংখ্যা ২০।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু এতটাই পুড়েছে যে, তাদের (চেহারা বা অবয়ব) শনাক্তই করা যায়নি।

সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাতটি লাশ শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো অ্যাবসোলিউটলি দেহাবশেষ। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

বিশেষ সহকারী বলেন, ১৭ জন মারা গেছেন। আমাদের তথ্যমতে প্রত্যেকেই শিশু। যারা পুড়েছেন, তাদের মধ্যে বেশি বয়সী শুধুমাত্র উদ্ধারকর্মী, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, দুজন শিক্ষক এবং একজন স্টাফ। এছাড়া বাকি সবাই শিশু। শিশুর সংখ্যা একশোর বেশি। এদের অল্পসংখ্যক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গিয়েছেন।  বেশি বয়সী ১৫ জনের মতো আছেন।

তিনি জানান, সাতটি হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি আছে। এখন প্রধানত জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি বেশি।

যারা প্রাথমিকভাবে এসেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া তিনজন মারা গেছেন। বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একজন মারা গেছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিএমএইচে ১২ জন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে ৮৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মারা গেছেন ১৭ জন।  যদিও অনেকে ১৯ বা ২০ জনের মৃত্যুর কথা বলছেন, তা আমরা নিশ্চিত করছি না। তবে এটি ভিন্ন হতে পারে।  

তিনি বলেন, আমাদের নয়জন আইসিইউতে ভেন্টিলেট করা আছে। আরও ঢামেক এবং এখানে প্রস্তুত আছে।

রক্তের বিষয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, রক্তের মূলত প্রয়োজন হবে আগামীকাল। তবে এখানে যারা আছেন, তাদের জন্য যথেষ্ট রক্ত আছে। অতিরিক্ত রক্ত সংগ্রহ করা ভালো হবে না।  

তিনি বলেন, সিএমএইচ একটি প্রটেক্টেড হাসপাতাল হওয়ার কারণে সেখানে ভিড় কম। ফলে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে এখানে (বার্ন ইনস্টিটিউট) সবচেয়ে জটিল রোগীরা আছে। শুধু ইনফেকশানের কারণে একটা বড় সংখ্যক রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অনুরোধ করছি, এখানে সবাই প্রবেশ করবেন না।  

তিনি বলেন, সব টিম আজ রোস্টার করা হয়েছে। সবাই ২৪ ঘণ্টা থাকবেন।

এফএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।