ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক, সহযোগিতার আশ্বাস মোদীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৫, জুলাই ২১, ২০২৫
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক, সহযোগিতার আশ্বাস মোদীর

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় এক শোকবার্তায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি, যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী।

পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ’

এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এবং মাত্র ১২ মিনিট পর, ১টা ১৮ মিনিটে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এবং মাত্র ১২ মিনিট পর, ১টা ১৮ মিনিটে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে।  

ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে, অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী। নিহতদের মধ্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। পুরো এলাকা ঘিরে হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়। আহতদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন।

আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন, সিএমএইচে ১৪ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিমানটি চালাচ্ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। একটি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল তার একক ‘সলো’ ফ্লাইট ট্রেনিংয়ের দিন। ফলে তার সঙ্গে কোনো প্রশিক্ষক ছিলেন না।

এনডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।