ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জুন ২০২৫, ০১ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

সিলেটে জাল প্রবেশপত্রসহ আটক ছাত্রীর ১ বছরের কারাদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:০৭, জুন ২৬, ২০২৫
সিলেটে জাল প্রবেশপত্রসহ আটক ছাত্রীর ১ বছরের কারাদণ্ড

সিলেট: জাল প্রবেশপত্রে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রীর এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও সিলেট মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন। এরপর বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবির ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে এই সাজা দেন।

তিনি বলেন, আইনানুযায়ী এই অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ১ বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ওই ছাত্রী প্রবেশপত্র জাল করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থীর ফয়জিয়া আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার বসানো হয়। আর কিউআর কোডে ওপর এক শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রবেশপত্র জাল করতে গিয়ে যারা তাকে সহযোগিতা করেছে, নিয়মিত মামলা হলে, তখন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে,  বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনে সিলেট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশকালে দুই ছাত্রীর একই প্রবেশপত্র দেখা যায়। দুজনই সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্রী।

ধরা পড়ার পর কেন্দ্র সুপার বিষয়টি সিলেট শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে মদন মোহন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন- মোছা. তাহমিনা আক্তার নামীয় ছাত্রীর প্রবেশপত্রটি জাল। পরে তাহমিনা আক্তারকে আটক করা হয়। আটকের পর ওই ছাত্রী কেঁদে কেঁদে বলেন- তিনি বিষয়টি জানেন না। তার ভাই অসুস্থ, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি  এটি করিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তাহিমানা জানান- পরীক্ষার ফি প্রদানের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। পরে এক দালালের কাছে টাকা জমা দেন তার ভাই। ওই দালাল একটি প্রবেশপত্র তাদের সরবরাহ করে। কিন্তু কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন সেটি জাল।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, জাল প্রবেশপত্রসহ আটকের পর ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরইমধ্যে তার বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ১ বছরের সাজা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়ার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

ঘটনার পর সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ জেড এম মাঈনুল হোসেন বলেন- জাল প্রবেশপত্র তৈরির বিষয়ে ওই ছাত্রী বা তার ভাইয়ের হাত থাকলে আমাদের উচিৎ তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া। ওই ছাত্রী পরীক্ষার্থী হওয়ায় এখানে মানবিকতারও বিষয়ও জড়িত। তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হবে, বললেও পরে আইনের আওতায় দেওয়া হয়।

তিনি এও বলেন, ওই ছাত্রী যদি প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন এবং যে দালালের মাধ্যমে এটি করিয়েছেন, সেই দালালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এনইউ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।