ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

লেহর আঘাত হানবে অন্ধ্র ও উড়িষ্যায়

কো-অর্ডিনেশন এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৯, নভেম্বর ২৮, ২০১৩
লেহর আঘাত হানবে অন্ধ্র ও উড়িষ্যায়

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ফাইলিন, হেলেনের পর এবার লেহর। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে এটি অতিক্রম করবে ভারতের অন্ধ্র উপকূল।

অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি পূর্ব উপকূল উড়িষ্যাতেও আছড়ে পড়তে পারে ঝড়টি।

অবশ্য ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দু`টি রাজ্যকেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। পাঠানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপর্যয়ের মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

আগেরদিন বুধবার সকালেই এর সামান্য প্রভাব টের পেয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপত্তনম। ওই শহর থেকে ৭০০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে লেহর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী প্রতিমুহূর্তেই পরিস্হিতির দিকে নজর রাখছেন। দুই রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে কথাও বলেছেন।


লেহরের ফলে ক্ষতি হতে পারে শস্যের। প্রভাব পড়তে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক পরিকাঠামোয়। ফাইলিনের প্রভাবে বিধবস্ত উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলায় এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারের কাজ।

লেহরের মোকাবিলায় সতর্ক গঞ্জাম জেলা প্রশাসন। ঝড়ের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই অন্ধ্র উপকূলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি আরও বেড়েছে। ২৯ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশে ও তেলেঙ্গানায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসন প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের গতি প্রথম দফায় ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে হলেও পরে এই গতি বাড়তে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার।

উপকূলবর্তী গুন্টুর-কৃষ্ণা-গোদাবরীর পশ্চিম ও পূর্ব উপকূল ও বিশাখাপত্তনমে ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। পূর্ব গোদাবরী জেলার মহকুমা প্রশাসক নীতু কুমারী প্রসাদ জানিয়েছেন, ৭৭টি শরণার্থী শিবিরে ২৫টি গ্রামের ৮,৫০০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঝড়ের মোকাবিলায় দফায় দফায় তিনি এদিন বৈঠক করেন বিভিন্ন্ দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। শিবিরে পাঠানো হয়েছে খাদ্য-জল-দুধ। খোলা হয়েছে স্বাস্থ্যশিবিরও। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নৌকা ফিরে এসেছে। আসন্ন ঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যের চারটি হেলিকপ্টার ও  জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অতিরিক্ত একটি শাখা প্রস্তুত।

এছাড়া উপকূলবর্তী এলুরু-রাজামুন্দ্রি-কাকিনাড়া-বিশাখাপত্তনমে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর চারটি দলকে। প্রতিটি দলে থাকবেন একশোজন সেনা।

কণ্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। পূর্ব গোদাবরী জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুধ ও বৃহস্পতিবার দু`দিন ছুটি ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।