ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ইতিবাচক মানসিকতা ও সংলাপের মাধ্যমে এগোনোর পদ্ধতির প্রশংসা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি।
ঘটনাটি রোববারের (১৪ সেপ্টেম্বর)।
ম্যাচটি বিশ্লেষণ করতে পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নেন আফ্রিদি। সেখানে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মানসিকতা ইতিবাচক। তিনি সংলাপের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে এগোতে চান। কিন্তু বিজেপির মানসিকতা খুবই নোংরা। একটা ইসরায়েলই কি যথেষ্ট নয়, যে আপনারা আরেকটা হতে চাইছেন?
তার এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হলে বিজেপি মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারি এক্সে লিখেন, রাহুল গান্ধীর নতুন একজন ভক্ত পাওয়া গেল। তিনি হলেন কলঙ্কিত পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি। যখন ভারতের শত্রুরা প্রশংসা করে, তখনই বোঝা যায় কংগ্রেস আসলে পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে।
এদিকে কংগ্রেস পাল্টা জবাবে বিজেপির দ্বিচারিতা তুলে ধরে। কংগ্রেস নেত্রী এক্সে অনুরাগ ঠাকরের সঙ্গে আফ্রিদির একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, মিষ্টি কথা তো আপনিই বলেন, সম্পর্কও রাখেন। আর প্রশ্ন তোলেন আমাদের বিরুদ্ধে?
বিজেপির আরেক নেতা শেহজাদ পুনাওয়াল্লা বলেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই। যে-ই ভারতের বিরুদ্ধে, সে-ই রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের মিত্র হয়ে যায়। সোরোস থেকে শহিদ সবাই কংগ্রেসে আশ্রয় পায়। কংগ্রেস আর পাকিস্তানের বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। ৩৭০ ধারা থেকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২৬/১১ থেকে পুলওয়ামা, সব ঘটনায় কংগ্রেস পাকিস্তানের কথাই বলে।
এশিয়া কাপে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ম্যাচে জয়ের পর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানান, এটি ছিল পেহেলগাম হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সংহতির অংশ। তিনি বলেন, জীবনের কিছু বিষয় খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার চেয়েও বড়। এই জয় আমরা উৎসর্গ করছি শহিদদের পরিবারের প্রতি।
অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দাবি করে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট দুই অধিনায়ককে হাত না মেলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। পিসিবি একে ‘ক্রীড়া চেতনার পরিপন্থী’ আখ্যা দিয়ে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়। তবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আইসিসি পাকিস্তানের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
এমজে