জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একাধিক হামলায় বিভিন্ন ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ইরান সম্ভবত ‘কয়েক মাসের মধ্যে’ আবারও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই তথ্য জানান আইএইএ-এর মহাপরিচালক ।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘দশকের পর দশক পিছিয়ে দেওয়া’ হয়েছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছিলেন, পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষতির মাত্রা ‘গুরুতর’, তবে বিস্তারিত জানা এখনও সম্ভব হয়নি।
গত ২৩ জুন, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংস্থাটির সদর দফতরে বোর্ড অব গভর্নরসের বৈঠকে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি স্পষ্ট করে বলেন, ‘সবকিছু ধ্বংস হয়নি, কিছু এখনো অক্ষত রয়েছে। ’
সিবিএস নিউজকে গ্রোসি বলেন, তারা কয়েক মাসের মধ্যেই বা তারও কম সময়ে একাধিক সেন্ট্রিফিউজ ইউনিট চালু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারবে ইরান।
হামলার পর আরেকটি যে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে তা হলো ইরানের হাতে থাকা ৪০৮.৬ কেজি ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিয়ে। এই ইউরেনিয়াম যদিও এখনো অস্ত্রযোগ্য মানের নয়, তবে আরও পরিশোধনের মাধ্যমে তা দিয়ে নয়টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব।
গ্রোসি জানান, তারা জানেন না এই উপাদান বর্তমানে কোথায় রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, এর কিছু অংশ হামলায় ধ্বংস হয়ে থাকতে পারে, আবার কিছু সরিয়েও নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এ নিয়ে অবশ্যই ভবিষ্যতে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এই ঘটনার পর, ইরানের সংসদ সদস্যরা আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে এবং তেহরান ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো, বিশেষ করে ফোর্দো সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রে গ্রোসির পরিদর্শনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
গ্রোসি বলেন, আমাদের অবশ্যই এমন অবস্থানে যেতে হবে যেখানে আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি কী রয়েছে, কোথায় রয়েছে এবং কী ঘটেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমএম