ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা ঠিকঠাক না পৌঁছালে সেখানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর প্রাণ যেতে পারে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচার।
বিবিসির নিউজ টুডে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি যতটা পারি এই ১৪ হাজার শিশুকে রক্ষা করতে চাই।
এদিকে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর ওপর ১১ সপ্তাহ ধরে চলা অবরোধ তুলে নিয়েছে ইসরায়েল। যদিও ফ্লেচার বলেছেন, মাত্র পাঁচটি লরি ত্রাণ নিয়ে সেখানে যেতে পেরেছে। তার আশা, আজ অন্তত ১০০ ত্রাণবাহী লরি গাজায় পৌঁছাতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণে মানবিক সহায়তা পাঠানো দরকার। ট্রাকগুলোতে শিশুখাদ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান রয়েছে।
এদিকে গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করার বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে এটি বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। একই সঙ্গে দেশ তিনটি গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই যুদ্ধ কালই শেষ হয়ে যেতে পারে যদি হামাস সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয় ও অস্ত্র সমর্পণ করে।
টম ফ্লেচারকে বিবিসির আন্না ফস্টার জিজ্ঞেস করেন, আরও সহায়তা না পেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে- এটি জাতিসংঘ কীভাবে ঠিক করল।
জবাবে তিনি বলেছেন, সেখানে আমাদের কর্মীদের শক্তিশালী দল রয়েছে— তাদের অনেকে নিহত হয়েছেন। তারপরও এখনো আমাদের অনেকে লোকজন সেখানে আছেন। তারা চিকিৎসাকেন্দ্রে আছেন, স্কুলে আছেন। .... আরও মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ফ্লেচার বলেন, এটি কঠোর বার্তা। তবে তার মতে, আসল চ্যালেঞ্জ হলো— জাতিসংঘ আদৌ আরও ত্রাণ গাজায় পৌঁছাতে পারে কি না।
আরএইচ