প্রবল ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও এর আশপাশের এলাকা। শুক্রবার (২ মে) সকালে দিল্লির দ্বারকা শহরতলীতে ঝোড়ো বাতাসের তোড়ে একটি গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ায় সেখানে থাকা তিন শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বৈরী আবহাওয়া ও অবিরাম বৃষ্টিপাতে গোটা দিল্লি নাস্তানাবুদ। দিল্লির অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দ্বারকা, খানপুর, সাউথ এক্সটেনশন রিং রোড, মিন্টো রোড, লাজপত নগর ও মোতিবাগ রয়েছে। ঘর থেকে ঠিকঠাক বেরোতে পারেনি অফিসগামী লোকজন। যানজট তৈরি হয় বিভিন্ন এলাকায়।
প্রচণ্ড বাতাসে অনেক এলাকায় গাছ ও খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যদিও এতে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে আবহাওয়ার অবস্থা বিবেচনা করে যতটা সম্ভব নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সকাল থেকেই দিল্লি বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা ব্যাহত হয়। দিল্লিগামী ৪০টি ফ্লাইটকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। অন্তত ২০০টি ফ্লাইট বিলম্বের কবলে পড়েছে। জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বিমানবন্দরের নানা অংশে। এছাড়া বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে একটি লোহার কাঠামোও ভেঙে পড়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরের তরফে যাত্রীদের জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হতে পারে। তাই প্রত্যেক যাত্রীকে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলির ঘোষণার ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাছপালা উপড়ে পড়ার কারণে ১৫-২০টি ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে স্টেশনও। ফলে দিল্লি বিভাগে ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আবহাওয়া দপ্তর আগেই দিল্লিতে ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করেছিল। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দিল্লির প্রগতি ময়দান এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। নজফগড়ে ছিল ৫৬ কিলোমিটার এবং লোধি রোডে ছিল ৫৯ কিলোমিটার।
এইচএ/