ইসরায়েলি নৌবাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানার কাছাকাছি একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
শনিবার সানার হিজইয়াজ বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। হুথি-সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ওই হামলার কারণে জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইয়েমেনের উপপ্রধানমন্ত্রীও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জরুরি সেবা কর্মীরা আরও বড় ধরনের ক্ষতি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন। সানার বাসিন্দারা অন্তত দুটি প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হুথি যোদ্ধারা ওই কেন্দ্র ব্যবহার করছিল। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করায় বেসামরিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা নিয়ে যুদ্ধাপরাধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, হুথিদের ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব হিসেবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার জবাবে হুথিরা একের পর এক রকেট ও ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করছে। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় হামলা চালাচ্ছে। এর আগে গাজায় মানবিক সহায়তার লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত হোদেইদা বন্দর ও ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও হামলায় চালায় ইসরায়েল।
দখলদারদের দাবি, বিমানবন্দর হুথিদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। তবে অধিকাংশ হুথি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়েছে। তবুও এই সংঘাত গাজার যুদ্ধকে আঞ্চলিকভাবে আরও বিস্তৃত করছে।
এমজে