নেপালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে কাঠমাণ্ডু। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছে।
আজ বিকেলে জাতীয় দলের নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে। টি-স্পোর্টসের সাংবাদিক মমিন রোহন জানান, আন্দোলনকারীরা দলের হোটেল ক্রাউন ইম্পেরিয়ালের ফটক ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ভুল ধারণা থেকে তারা ভেবেছিল হোটেলে সরকারপন্থীরা অবস্থান করছে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে কিছুক্ষণ পর হোটেলের পাশের এক রাজনীতিবিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে হোটেলের সামনের আগুনের দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে জামাল সতীর্থদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, “এখানে সেফ না, আমাদের দ্রুত বের হওয়া দরকার। ”
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকেরাও হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন। টি-স্পোর্টসের মমিন রোহন জানান, “আমিসহ আরও দুজন সাংবাদিক টিম হোটেলেই অবস্থান করছি। এখানকার পরিস্থিতি ভালো নয়। বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, আমাদের পাসপোর্টের কপি তারা নিয়েছেন। ”
মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার ও বিএসপিএ’র সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেন বলেন, “বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন দলের সঙ্গে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে ফ্লাইটের নিশ্চয়তা এখনো নেই। বিমানবন্দর সচল হওয়ারও কোনো লক্ষণ নেই। ”
প্রীতি সিরিজ কাভার করতে কাঠমাণ্ডু যাওয়া সাংবাদিক ওমর ফারুক রুবেল বলেন, “আমরা সাংবাদিকরাও ফুটবলারদের মতো হোটেলবন্দি। একটু পরপর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শোনা যাচ্ছে। গুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ”
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা ফুটবলার ও সাংবাদিক সবাইকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু নেপালের কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কোনো ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি। তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ”
আজ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট কাঠমাণ্ডুতে অবতরণ করতে না পারায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কাল সকালে আরেকটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটিতেই দেশে ফিরবেন জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরাও।
এআর/আরইউ