এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় টিটুর শিষ্যদের।
৭০ মিনিটে ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামের দুর্দান্ত শটে শুরু হয় বাংলাদেশের গোল উৎসব। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর জোরালো শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ছিলেন অসহায়। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি ছিল তাঁর প্রথম গোল। দুই মিনিটের ব্যবধানে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আল আমিন। লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান তিনি।
৭৮ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মুর্শেদ আহমেদ সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ ভেদ করে তৃতীয় গোল করেন। এরপর অধিনায়ক শেখ মোরসালিন ৮২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে গোল করে ব্যবধান ৪-০ করেন। ইনজুরি সময়ে সিঙ্গাপুর একটি গোল শোধ করলেও বড় জয় এড়াতে পারেনি।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিল ভিন্ন ছবি। একের পর এক আক্রমণ করে সিঙ্গাপুর কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ একাধিক সেভ করে দলকে বাঁচিয়েছেন। তার দৃঢ়তায়ই দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে আনুষ্ঠানিক কোচ সাইফুল বারী টিটু চিকিৎসা শেষে হোটেলে থাকলেও ডাগআউটে দায়িত্ব সামলান সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। দ্বিতীয়ার্ধে ফাহমিদুলকে নামানোর পরই ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। ফাহমিদুল ও আল আমিনের গতি ও স্কিল সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগকে একেবারে ভেঙে দেয়।
এর আগে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টের গত দুই আসরে বাংলাদেশ কোনো জয় তো দূরের কথা, একটি গোলও করতে পারেনি। তাই আজকের জয় দীর্ঘদিন পর লাল-সবুজ শিবিরে বিশেষ স্বস্তি এনে দিল। যদিও মূল লক্ষ্য ছিল বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল আসরে ওঠা, সেটি এবারও সম্ভব হয়নি।
এআর/আরইউ