ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো হয়ে গেছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল উঠেছে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে।
আগামীকাল (৫ জুলাই) বিকেল ৬টায় বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে শেষ অনুশীলন সেরে অধিনায়ক আফঈদা বলেন, 'দেশবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থন আমাদের অনুপ্রেরণা। দলের পরিবেশ খুব ভালো, সবার মন খুব ফুরফুরে। শেষ ম্যাচে আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। '
এর আগে ফিফা র্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা দুই প্রতিপক্ষ মায়ানমার (৫৫) ও বাহরাইন (৯২)-কে হারিয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ (র্যাংকিং ১২৮)। ইতিহাস গড়া এই অর্জনে দারুণ উচ্ছ্বসিত আফঈদা বলেন, 'এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাংলাদেশ নারী ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার এশিয়ান কাপে উঠেছে—এটা আমাদের জন্য বিশাল গর্বের। '
মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে সেরা ৬ দল পাবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার টিকিট, যা হবে ব্রাজিলে। আফঈদার চোখ এখন আরও বড় স্বপ্নে—'আমি বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখতে চাই। আমাদের সামনে সুযোগ আসছে, আমরা তা কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। '
দলের অন্যতম তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা মায়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচে দুটি গোল করে জয়ের নায়িকা হন। বাফুফের প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'এই কোয়ালিফিকেশন আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছি, যা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা এখনো উদযাপন করিনি, কারণ আরও একটি ম্যাচ বাকি। জয় দিয়ে শেষ করেই আমরা উদযাপন করতে চাই। ”'
মায়ানমারের বিপক্ষে জয়ের পর মাঠ থেকে সোজা ফোন গিয়েছিল তার মায়ের কাছে। আবেগময় ভঙ্গিতে ঋতুপর্ণা বলেন, “জেতার পর প্রথমে মাকে কল দেই। মা অসুস্থ, কিন্তু আমার গোলের কথা শুনে বলল, ‘এখন আর অসুস্থ লাগছে না’। পরিবারের সবার খুশি মুখটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ”
বাংলাদেশ দল এখন শুধু ইতিহাস গড়েনি, সামনে তাকিয়ে আছে আরও বড় অর্জনের দিকে। আর সেই যাত্রায় শেষ ম্যাচটা জিতে একসঙ্গে উদযাপন করতে চায় গোটা দল।
এমএইচএম