বৃহৎ পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তের পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ৩২ দলের প্রথম আসর মাঠে গড়ানোর পর সেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।
এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লপ বলেন, ‘ফুটবলাররা আগেই ঠাসা সূচির মধ্যে দিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। নতুন এই টুর্নামেন্ট কেবল তাদের ওপর আরও বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। এটা একেবারেই অর্থহীন প্রতিযোগিতা। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যে দলই জিতুক না কেন, তারা ইতিহাসের সবচেয়ে ‘অপ্রয়োজনীয়’ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরিচিত হবে। কারণ তারা গ্রীষ্মকালজুড়ে খেলবে, এরপর কোনো বিশ্রাম ছাড়াই ফিরবে লিগে। এটা অবিশ্বাস্য রকমের অমানবিক। ’
ক্লপ অভিযোগ করেছেন, ফুটবলের প্রতিদিনের বাস্তবতা যারা বোঝে না, তারাই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ‘কিছু মানুষ আছে যারা কখনোই ফুটবলের প্রতিদিনের কষ্ট-ক্লান্তিতে ছিলেন না। এখন তারাই এসব ভাবনা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। ’
প্রসঙ্গত, আগের ক্লাব বিশ্বকাপ ছিল বছরে একবার এবং এতে অংশ নিত মহাদেশসেরা ক্লাবগুলো। নতুন নিয়মে প্রতি চার বছর অন্তর হবে ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ, আর আগের ফরম্যাটের প্রতিযোগিতা নতুন নামে অর্থাৎ ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ হিসেবে চালু থাকবে।
তবে এত ঘন ঘন টুর্নামেন্ট আয়োজনের ফলে ফুটবলারদের বিশ্রামের সময় কমে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা ক্লপের। তার মতে, এর ফলাফল হবে মারাত্মক ‘এখনই অনেক বেশি ম্যাচ হচ্ছে। আমার ভয়, আগামী মৌসুমেই খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার হার বাড়বে। যদি তখন না হয়, তাহলে বিশ্বকাপে কিংবা বিশ্বকাপের পর সেটা হবেই। ’
আগামী বছরই প্রথমবারের মতো ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ফিফা, যা অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় যৌথভাবে।
আরইউ