রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ বা ঘৃণামূলক অপরাধে চার ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তারা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রিয়াল মাদ্রিদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের কাছাকাছি একটি সেতুর ওপর ভিনিসিয়ুসের ফোলানো পুতুল ঝুলিয়ে রাখেন।
ঘটনাটি ঘটে আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে রিয়ালের কোপা দেল রে ম্যাচের আগে। ভিনিসিয়ুসের প্রতিকৃতি বানিয়ে তাতে ২০ নম্বর জার্সি পরিয়ে একটি ব্রিজের নিচে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে ব্যানারে লেখা ছিল, ‘রিয়ালকে ঘৃণা করে মাদ্রিদ। ’
এই অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে ১৪ মাস এবং অপর একজনকে ২২ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে—যিনি সেই ছবিগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে সকলের দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে, কারণ তারা ভিনিসিয়ুস, রিয়াল মাদ্রিদ, লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।
শাস্তির অংশ হিসেবে, চারজনের বিরুদ্ধে ভিনিসিয়ুসের বাসা ও রিয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ডের এক কিলোমিটারের মধ্যে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, লা লিগা বা স্পেন জাতীয় দলের কোনো ম্যাচে তারা প্রবেশ করতে পারবে না।
রিয়াল মাদ্রিদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্লাবের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
“এই দণ্ডাদেশটি সম্প্রতি স্টেডিয়ামগুলোতে আমাদের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে নেওয়া আরও কিছু আইনি পদক্ষেপের অংশ। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে থেকে সব ধরনের বর্ণবাদ দূর করতে কাজ করে যাচ্ছি,” — বলেছে ক্লাবটি।
২০১৮ সালে ফ্লামেঙ্গো থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভিনিসিয়ুস নিয়মিতভাবে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়ে আসছেন। আতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থকদের হাতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন তিনি, এরপর রিয়াল ভালাদোলিদের বিপক্ষেও একই ঘটনা ঘটে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরেই তিনি লা লিগাকে আহ্বান জানান, যেন যারা এমন আচরণ করে, তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
এমএইচএম