ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

ফেল করেও কোটায় রাবিতে ভর্তি হন শিবিরের এজিএস প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪৭, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
ফেল করেও কোটায় রাবিতে ভর্তি হন শিবিরের এজিএস প্রার্থী এজিএস প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার। এ অবস্থায় আজ বুধবার বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুরছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বিরের পোষ্য কোটায় অবৈধ ভর্তির অভিযোগের কাগজপত্র।

অবশ্য সাব্বির এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

অভিযোগ রয়েছে, সালমান সাব্বির পোষ্য কোটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।

কিন্তু পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে হলেও পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সালমান সাব্বির পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৫ নম্বর। প্রয়োজনের চেয়েও কম নম্বর পেয়ে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।  

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গতরাতে এস এম সালমান সাব্বির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

যারা নির্বাচনের আগ দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে তাদের ইনটেনশন অন্য। শিক্ষার্থীরা যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দেবে। এটাতে রাকসুতে কোনো প্রভাব পড়বে না। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চালাতেই পারে।

অথচ গত মাসেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘পোষ্য কোটা’ বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এমনকি এই আন্দোলনে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কর্মবিরতিতেও যান। এমনকি রাকসু নির্বাচনও পেছাতে হয়। আর কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে শিবির সমর্থিত ভিপি ও জিএস প্রার্থীও।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবির কোটার বিরোধিতা করলেও তারা নিজেরাই পোষ্য কোটার সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি তাদের এজিএস প্রার্থীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার পরও পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন।  

জানা যায়, সালমান সাব্বির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়নরত।  

জানা যায়, রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩০৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ১০টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল আছে মাত্র দুটি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।  

অন্যগুলো হলো : বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’, সাবেক দুই সমন্বয়কের নেতৃত্বে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’, নারী ভিপি প্রার্থীর নেতৃত্বে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’ ও ‘ইনডিপেনডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স’।

ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর, জিএস নাফিউল ইসলাম জীবন ও এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা। অন্যদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ এ ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান ওরফে জাহিদ, জিএস ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা ও এজিএস এস এম সালমান সাব্বির।

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।