ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

দাবি না মানলে যমুনা অভিমুখে শিক্ষকদের ‘লং মার্চ’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৯, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
দাবি না মানলে যমুনা অভিমুখে শিক্ষকদের ‘লং মার্চ’

তিন দফা দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) এমন ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন।

কর্মসূচি ঘোষণা করে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময়ের অবরোধ শেষে শাহবাগ এলাকা ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বর্তমানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। অবরোধ তুলে নেওয়ায় শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আগামীকাল আমরা ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করব। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করেছি, আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।

তিনি বলেন, কাল দাখিল পরীক্ষা আছে। দাবি না মানলে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না।

এর আগে দুপুর ২টা নাগাদ রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এতে শাহবাগ এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তোপের মুখে মঞ্জু-সাকি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করতে অবরোধস্থলে এসে তোপের মুখে পড়েন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। এ সময় তাদের উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সাকি ও মঞ্জু জানান, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য এসেছেন। যেহেতু তারা (শিক্ষকরা) আলোচনা করতে ইচ্ছুক নন। তারা তিন দফা দাবি মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে দেবেন। এরপর তারা স্থান ত্যাগ করেন। ভিড়ের মধ্যে জোনায়েদ সাকির মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়।

তোপের মুখে পড়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু শিক্ষকদের বলেন, আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পক্ষ থেকে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। আমরা আপনাদের চূড়ান্ত কথা ওনাদের জানাতে চাই।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলতে থাকেন, ‘২০ পার্সেন্ট চূড়ান্ত, আর কীসের কথা! শিক্ষকরা ‘২০ পার্সেন্ট, ২০ পার্সেন্ট’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধি মাইকে বলেন, আমাদের সম্মানিত রাজনীতিবিদরা এসেছেন। তবে আমরা একাধিকবার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বসেছি। আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে।

পরে মাইক হাতে জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনাদের তিন দফা দাবি আমরা শুনেছি। জনসমাবেশে তো কথা হতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থা কী জানতে হবে। সরকারের দাবি কী শুনবেন, সরকারের বাস্তবতা কী সেটা জানবেন। সরকারের প্রস্তাব তো শুনতে হবে। যদি না শোনেন, যদি আপনারা বসতে না চান। তাহলে আপনাদের দাবি আমরা জানিয়ে দেব।

তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমি গণসংহতি করি, মঞ্জু ভাই এবি পার্টি করেন। আপনাদের আন্দোলনের ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি যৌক্তিক সমাধানের জন্য। তাদের কথা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। আপনাদের নেতৃবৃন্দ যদি কথা বলতে না চান, আলোচনার সুযোগ না থাকলে আপনাদের দাবি আমরা জানিয়ে দেব।

পরে জোনায়েদ সাকি অবরোধস্থল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মাইকে এক শিক্ষক ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘সাকি ভাইয়ের ফোন চুরি হয়ে গেছে!’ 

এফএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।