ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি আমদানি-রপ্তানিতে বড় ক্ষতি: আমিরুল হক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৬, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি আমদানি-রপ্তানিতে বড় ক্ষতি: আমিরুল হক আমিরুল হক

চট্টগ্রাম: বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান ভোগ্যপণ্যের চাহিদা, রপ্তানিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সক্ষমতা বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোকে উদ্বেগের বলছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরে উচ্চহারে মাশুল বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

প্রায় তিন যুগের বেশি সময় পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্যারিফ বাড়িয়ে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন ট্যারিফ শিডিউল কার্যকর করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, বন্দরের মতো সেবামূলক একটি সংস্থার সেবা মাশুল একলাফে গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আমরা খুবই অবাক হয়েছি। বন্দরের মাশুল বাড়ানোর কারণে রপ্তানি সক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কারণ, রপ্তানিতে এখন দুই দফায় বাড়তি মাশুল গুনতে হবে। কাঁচামাল আমদানির সময় এবং কনটেইনারে পণ্য রপ্তানির সময় এই মাশুল দিতে হবে। এতে রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে রপ্তানিকারকদের। আবার আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। বাড়তি এই ব্যয়ের বোঝা দিন শেষে ভোক্তাদের বহন করতে হবে। বন্দরের নতুন মাশুলের কারণে আমদানি-রপ্তানিতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল, অন্তত যাচাই-বাছাই করে যেসব খাতে মাশুল বৃদ্ধি যুক্তিসংগত, সরকার সেসব খাতে মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। এখন দেখছি সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে দিনে দিনে এই মাশুল কার্যকর করা হয়েছে। আমরা সব সময় ব্যবসার খরচ কমানোর কথা বলে আসছি। রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলছি। অথচ এসব নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে মাশুল বাড়ানো হলো। এটা অপ্রত্যাশিত। মাশুল বাড়ানোর পক্ষে একটি যুক্তি বেশি শুনছি। সেটি হলো, ১৯৮৬ সালের পর মাশুল আর বাড়ানো হয়নি। অথচ আমরা দেখছি, বন্দর ডলারে মাশুল আদায় করে। এর মানে হলো প্রতি বছর ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরের মাশুলও বেড়েছে। গত কয়েক বছরে ডলারের বিনিময় মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের মাশুল এমনিতেই অনেক বেড়ে গেছে। আবার ট্যারিফ আইটেমের কয়েকটি খাতে ১৭-১৮ বছর আগে এক দফা মাশুল বাড়ানো হয়েছিল।

‘চট্টগ্রাম বন্দর একটি সেবামূলক সংস্থা। এই বন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো আর কোনো বন্দর দেশে নেই। ফলে এই বন্দরের সেবার মান ভালো হোক আর খারাপ হোক, ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে বাধ্য। সবচেয়ে বড় কথা, বন্দর প্রতিবছর সেবা দিয়ে মুনাফা করছে। যেখানে মুনাফা হচ্ছে, সেখানে কেন আরও মুনাফা করতে হবে?’

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।