চট্টগ্রাম: দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে ক্যাম্পাসে যেন উৎসবের আমেজ। কেউ স্বতন্ত্র, কেউ আবার প্যানেল হয়ে ফরম সংগ্রহ করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু কার্যালয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এদিন নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় নির্বাচনের তৃতীয় দিনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ।
এদিকে, নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিন হলেও এখনও প্যানেল ঘোষণা করনি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বাগছাস এর মতো সংগঠন। তবে বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে ‘দ্রোহ পর্ষদ’ নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা ছাত্রদলের এক প্রার্থী রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রদল থেকে এখনও প্যানেল ঘোষণা করা হয়নি। আমি মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি। দল আমাকে যেখানে সুযোগ দিবে সেখানে নির্বাচন করবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে৷ যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে শিক্ষার্থীরা। কোনো ছাত্র সংসদ না থাকায় দীর্ঘদিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কেউ কথা বলেনি।
আমি নির্বাচিত হলে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার আদায়ে কাজ করবো। পাশাপাশি ক্যাম্পসের যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধান করবো।
পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম নেওয়া সাজ্জাদ রহমান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খাবারের সমস্যা। আমি পড়ালেখার পাশাপাশি যেহেতু খাবার নিয়ে কাজ করি তাই আমি জানি কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে হলের ডাইনিং সমূহে খাবারের মান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।
এর আগে সোমবার পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয় ১৬৯টি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ৯৭টি, ছাত্র হল সংসদে ২৬টি এবং ছাত্রী হল সংসদে ৪৬টি সংগ্রহ করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাবে ২৫ সেপ্টেম্বর। এছাড়া ভোটগ্রহণ হবে ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট শেষে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা শুরু হবে এবং একইদিন ফলাফল ঘোষণা করা হবে। চাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৮ নভেম্বর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন আজিম উদ্দীন।
এমআর/পিডি/টিসি