ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মশাবাহিত রোগে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৮, জুলাই ২৮, ২০২৫
মশাবাহিত রোগে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম ...

চট্টগ্রাম: এডিস মশাবাহিত রোগের জন্য চট্টগ্রাম নগরীকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। মশার বিস্তার ও মশাবাহিত রোগের ওপর সবশেষ গবেষণাটি করে প্রতিষ্ঠানটি।

 

চলতি জুলাই মাসে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত বছর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ একই ধরনের এক জরিপ পরিচালনা করে।

দুই প্রতিষ্ঠানের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, এবার এডিস মশার প্রজনন ও লার্ভার ঘনত্ব-দুটোই বেড়েছে।

২০২৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় পরিচালিত জরিপে ২০০টি বাড়ির মধ্যে ৭৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল, যার হার ছিল ৩৭ শতাংশ। পরের বছর ২০২৫ সালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) নগরের ছয়টি এলাকায় জরিপ চালিয়ে ১২৮টি বাড়ির মধ্যে ৬২টিতে লার্ভা খুঁজে পায়। যার হার দাঁড়ায় ৪৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।  

এছাড়া চট্টগ্রামে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব (ব্রুটো ইনডেক্স) ২০২৪ সালে ৩৬ শতাংশ ছিল। এবার আইইডিসিআরের গবেষণায় লার্ভার ঘনত্ব পাওয়া গেছে ৭৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার সর্বোচ্চ ১৩৪ শতাংশ পর্যন্ত ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে নগরের আগ্রাবাদে। কিন্তু গত বছর সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স ছিল বহদ্দারহাটে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া এবং করোনার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তবে অন্য দুই রোগের তুলনায় চিকনগুনিয়ার ব্যাপকতা বেড়েছে। তাই আমাদের চিকিৎসা সেবার প্রস্তুতি বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আইইডিসিআরের সুপারিশগুলো সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।  

এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।