চট্টগ্রাম: নগরের চান্দগাঁও থানার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো.আবুল বশর।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চান্দগাঁও থানার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের ১৫ জন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় কাঁচা বাজার থেকে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মো. শহিদুল ইসলাম শহিদের ছোট ভাই চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। আসামিরা ঘটনার আগেও এবং ঘটনাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অর্থায়নের মাধ্যমে এতে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
এমআই/পিডি/টিসি