ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাইপ লাইনে ঘণ্টায় ২৮০ টন ডিজেল যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪৭, জুন ২৪, ২০২৫
পাইপ লাইনে ঘণ্টায় ২৮০ টন ডিজেল যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে

চট্টগ্রাম: পরিবেশবান্ধব, ঝুঁকিমুক্ত, পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ী পাইপ লাইনে চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ মেট্রিক টন ডিজেল যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এর মধ্যে দিয়ে অপারেশনাল সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের পর নদীপথে অয়েল ট্যাংকারের পরিবর্তে পাইপলাইনেই নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা ডিপোতে জ্বালানি তেল পাঠানো হবে।
 
 
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন্স) মণি লাল দাশ।  

তিনি বাংলানিউজকে জানান, রোববার পতেঙ্গা গুপ্তখাল থেকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির দুই ট্যাংকের ১৮-২০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাইপলাইনে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপোতে পাঠানো শুরু হয়েছিল। এরপর সোমবার মেঘনা অয়েল কোম্পানির দুইটি ট্যাংকের ১৬-১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।  

‘আমি আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে পতেঙ্গার পাম্প হাউস পরিদর্শন করেছি। তখন গোদনাইলে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের একটি ট্যাংকে ৫ হাজার মেট্রিকটন তেল পৌঁছেছিল। সেটির ধারণক্ষমতা ছিল ৯ হাজার টন। বাকি তেল আরেকটি ট্যাংকে রাখা হবে। সব কিছু স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনে মনিটরিং করা হচ্ছে। পাইপলাইনে তেল পাঠাতে কোনো জটিলতা হচ্ছে না। এ লাইনে ঘণ্টায় ৩২০ মেট্রিক টন জ্বালানি পাঠানোর সক্ষমতা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘণ্টায় ২৬০-২৮০ টন পাঠানো হচ্ছে। পদ্মা, মেঘনার পর পাইপ লাইনে বুধবার তেল যাবে যমুনার। তার পরদিন পাইপ লাইনে তেল যাবে কুমিল্লার ডিপোতে।  

পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি পিএলসি (পিটিসিপিএলসি) ও প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এই জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানান মণি লাল দাশ।  

সূত্র জানায়, বছরে ৫০ লাখ টন জ্বালানি তেল সরবরাহের সক্ষমতাসহ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত, সিস্টেম লস কমানো, নৌপথে তেল পরিবহনের বিপুল খরচ সাশ্রয়, পরিবেশ সুরক্ষা, ঝুঁকিমুক্তভাবে দ্রুততম সময়ে তেল পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত আড়াইশ’ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়।  বিপিসির এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ২৭ লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। এতে বছরে সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা।  

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।