চট্টগ্রাম: সবাইকে মাস্ক পরা উচিত বলে আমি মনে করি। সবাইকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রামে ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিনিয়ত করোনা রোগী বাড়ছে। আমি আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে গেছি, সেখানে তিনজন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। ৩৫-৪০ বেডের শয্যা রেডি আছে। চমেকে ৫০ বেডের করোনা সেন্টার রেডি আছে। ১০টি ভেন্টিলেটর করোনা ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দেওয়া যাবে। ৩৯টি হাইফ্লো অক্সিজেন ক্যানোলা রেডি আছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন আছে। করোনা চিকিৎসার জন্য যেগুলো দরকার সব কিছু আছে। এটা আমার ভালো লেগেছে।
তিনি বলেন, জেনারেল হাসপাতালে ১টি ভেন্টিলেটর ছিল। ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে তিনটি ভেন্টিলেটর আজ ঠিক করেছে। হাইফ্লো ১০টি ঠিক করে দিতে পারবে। অক্সিজেন চ্যানেল আছে, যা দিয়ে ১৫ লিটার অক্সিজেন দিচ্ছে। আমি নিজে দেখেছি তিনজন রোগী এখন ভালো আছে। জেনারেল হাসপাতালে লোকবলের অভাব আছে। স্বাস্থ্য পরিচালককে ফোন করেছি। উনি দুই দিনের মধ্যেই ঘাটতি পদে লোকবল দেবে। তবে মেডিক্যাল কনসালটেন্টের জন্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দুই একজনকে ডেপুটেশনে দিলে ভালো হবে। ছয়জন নার্সকে সম্প্রতি রেলওয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাই নার্সের সংকট আছে। আমি ৬-১০ জন নার্স দিতে বলেছি। মেয়র হিসেবে জনগণের স্বার্থে আমি যেহেতু ডাক্তার তাই তদারক করছি।
মা ও শিশু হাসপাতাল রেডি আছে। ভেন্টিলেটর, হাইফ্লো অক্সিজেন, ক্যানোলা, চ্যানেল সবই আছে। চমেক, বিআইটিআইডি, সিভাসু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর কিট রেডি আছে। চট্টগ্রামে চারটি জায়গায় হয়। এর বাইরে বেসরকারি ক্লিনিকেও হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিসে ৮০ হাজার ফাইজার টিকা রেডি আছে। ডাক্তার, সমাজবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ যারা রিস্কি জায়গায় কাজ করছেন তারা বুস্টার ডোজ হিসেবে টিকা দিতে পারলে ভালো হবে।
এআর/পিডি/টিসি