মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে: ম্যাচের শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে যে চাপে পড়ে পাকিস্তান সেটি পুরো ম্যাচে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। মাঝখানে উমর আকমল- শোয়েব মালিক কিছুটা চেষ্টা ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।
মূলত জাদেজা, অশ্বিন ও অমিত মিশ্রার নিয়ন্ত্রিত বলে পাকিস্তানকে নিজেদের টার্গেটের রানে বেধে ফেলে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারত।

পাকিস্তানের পক্ষে সবোর্চ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন উমর আকমল। এছাড়া শোয়েব মোকসুদ ২১ (১১) এবং আহম্মেদ শেহজাদ ২২ (১৭) রান নেন। ইনিংসের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ গড়ে উমর আকমল এবং শোয়েব মালিক জুটি।
উমর আকমল এবং শোয়েব মালিকের ব্যাটে একটা ভাল পার্টনারশিপ হলেও ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন শোয়েব মালিক। এরপর মাঠে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শহীদ আফ্রিদি। ১০ রানে আউট হয়ে উমর আকমেলর পথ ধরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ম্যাচের শেষ বলে রান আউটের শিকার হন শোয়েব মোকসুদ।

ম্যাচের প্রথম আট ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতেই ভুল বোঝাবুঝিতে দ্বিতীয় ওভারে রান আউটের শিকার হন কামরান আকমল। ব্যক্তিগত ১৫ রানে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহম্মদ হাফিজ। এরপর সাজঘরে ফেরার মিছিলে সামিল হন আহমেদ শেহজাদ।
এর আগে ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় যুবরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান হাফিজ। তবে তার ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেন নি। ১৫ রানেই থেমে যান তার ইনিংস।

শুরুতেই ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে কামরান আকমল ও আহমেদ শেহজাদ প্রথম ওভারে সংগ্রহ করেন ৪ রান। পরের ওভারে অশ্বিনের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাকান কামরান আকমল। পরের ওভারেই রান আউটের শিকার হন তিনি।
টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যাকার এ আকর্ষনীয় ম্যাচ দেখতে এরইমধ্যে মিরপুর স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আরো একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে দর্শকরা।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনী টস জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়।
দু’দলই মাঠে তাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য দল সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪