বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষ পর্যন্ত গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে ১ রানের ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে করে ২১৩ রান। ইনিংসের শেষ দিকে মাত্র ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন রিশাদ হোসেন, যার ব্যাটে ঝড় বইয়ে যায় শেষ ওভারগুলোতে। জবাবে ১৭৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন শাই হোপ। তার ৬৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। ভাগ্য নির্ধারিত হয় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানরা তোলেন ১০ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ওভারের শুরুতেই ওয়াইড ও নো বল মিলে ৫ রান এলেও, শেষ পর্যন্ত ১ রানের ব্যবধানে জয়ের হাসি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে সবকটি ৫০ ওভারই করেছেন স্পিনাররা! ওয়ানডে ইতিহাসে এই কীর্তি এই প্রথম। এর আগে সর্বাধিক ৪৪ ওভার স্পিন করানোর রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে মোট ৯২ ওভার স্পিন বোলিং; যা ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে স্পিনাররা করেছিলেন ৭৮.২ ওভার।
ওয়ানডেতে অন্তত ৩০ রান করা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট এখন রিশাদের। তার ১৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ২৭৮.৫৭, যা ছাড়িয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের ২৭৫ স্ট্রাইকরেটকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথম সুপার ওভার খেলল টাইগাররা। সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম বল করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিই দেশের হয়ে প্রথম ও একমাত্র সুপার ওভারের উইকেট শিকারী। প্রথম ক্যাচ ধরেন সাইফ হাসান।
ব্যাট হাতে প্রথম মুখোমুখি হন সৌম্য সরকার, পরে যোগ দেন সাইফ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
রোমাঞ্চে ভরা এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ হয়। এখন সিরিজ ১-১ সমতায়। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৩ অক্টোবর মিরপুরে, তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে।
এফবি/আরইউ