ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

খেলা

বন্দরনগরীতে শিরোপা প্রত্যাশায় ফুটবলপ্রেমীরা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৯, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
বন্দরনগরীতে শিরোপা প্রত্যাশায় ফুটবলপ্রেমীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: তাজিকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে না থাকলেও দেশের বন্দরনগরী চট্ট্রগ্রামের বড় তারকা এখন জাহিদ হাসান এমিলি আর মোহাম্মদ জাহিদ। দেশ সেরা এ দুই তারকাকে নিয়ে মাতাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তাঘাট, স্টেডিয়ামের গেট সংলগ্ন এলাকা।

আর স্টেডিয়ামের ভেতরের অবস্থা বলাই বাহুল্য। ঢাক-ঢোল আর বিভিন্ন বাদ্যের আওয়াজ স্টেডিয়ামের বাইরে থেকেই শোনা যাচ্ছিল সন্ধ্যার আগে থেকেই।

সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মাঠে নামছে দুই বাংলার ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনী আর ঐতিহ্যবাহী ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের ফাইনালে।

বিকেলের বৃষ্টিতে থেমে ছিলনা খেলা দেখতে আসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ফুটবল পাগলরা। আন্দরকিল্লা, নন্দন কানন থেকে ৮ জনের বিশাল গ্রুপ নিয়ে এসেছেন মিজান, ফাহাদ, ইরফানরা। বন্ধুরা মিলে উপভোগ করবেন ফাইনাল ম্যাচ। শুধু-শুধুই উপভোগ করতে চান না তারা। জানালেন, জয়ের আনন্দ নিয়েই মাঠ ছাড়তে চান তারা।

এই ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ওপার বাংলার দলটি। ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল অতিথি দলটি। তবে, ইরফান-মিজানদের সে ম্যাচটির কথা মনে করিয়ে দিতেই স্বমস্বরে বলে উঠলেন, ‘সে ম্যাচে হেরেছি বলেই তো আজ প্রতিশোধ নিতে চাই। আমাদের জাহিদ জ্বলে উঠলেই তারা (ইস্টবেঙ্গল) হার নিয়ে চট্টগ্রাম ছাড়বে। আর আমাদের খেলা দেখতে আসার মূল কারণ-তাদের হারতে দেখা। ’

ছোট ভাইকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন আনোয়ার ইসলাম। বহাদ্দারহাট থেকে দুই ভাই জানালেন, ‘টিকিট কেটেছি, এখন ভেতরে ঢোকবার অপেক্ষায় রয়েছি। একমাত্র চাওয়া আমাদের প্রাণের দলটি যেন আজকের ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের একটি ম্যাচে জাহিদ হ্যাটট্রিক করেছিল। সে ম্যাচটি আমি দেখতে পারিনি বলে হতাশ। ’

১২ জনের আরেকটি বহর নিয়ে মাঠে এসেছেন ওয়াহিদরা। বন্ধুদের নিয়ে প্রথম ম্যাচগুলো দেখা হয়নি বলে আফসোস রয়েছে তাদেরও। আজকের ফাইনালে দুই জাহিদকে একই সঙ্গে জ্বলে উঠতে দেখতে চান তারা। জানালেন, ২-১ গোলে এই ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে হেরেছি, আজ তাদের ২-০ গোলে হারাবে আমাদের দল।

চার ম্যাচ পর ফাইনালের আগে এখনও অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল। পক্ষান্তরে প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে হেরে গেলেও পরের ম্যাচগুলোতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রথম থেকেই যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়া এমিলির দলটি। করাচি ইলেকট্রিককে ৪-২, ঢাকা আবাহনীকে ১-০ আর আফগানিস্তানের বাজানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।

ম্যাচের আগের দিন চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক এমিলি জানিয়েছিলেন, ‘সব ভালো যার, শেষ ভালো তার’। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এখন সেই শেষ ভালোর অপেক্ষায়, অপেক্ষায় পুরো দেশবাসী। ওপার বাংলার সেরা দলটিকে হারিয়ে সীমানার এপাশেই শিরোপা রেখে দেওয়ার অপেক্ষায় চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।