এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশের ভরসার অন্যতম দুই সদস্য ধরা হচ্ছিল লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়কে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই দুই সদস্যই হলেন জয়ের নায়ক।
হংকংয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৪ রান তাড়া করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ১৪ বলে ১ ছয় ও ২ রানে ১৯ রান করেন তিনি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিমও। তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল দুই উইকেটে ৫১।
এরপর হাল ধরেন লিটন ও হৃদয়। দুজনেই চেষ্টা করছিলেন দ্রুত রান তুলতে। তবে দুজনের স্ট্রাইক রেটই ছিল একশর নিচে। যদিও উইকেট খোয়াতে হয়নি। তবে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান হয় ২ উইকেটে ৭৪। ৪৭ বলে এই জুটি করেন অর্ধশতক রান। ফিফটির দেখা পান লিটন দাসও। ৩৩ বলে নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ ফিফটির দেখা পেয়ে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন লিটন। তবে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি। জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে আতিক ইকবালের বলে ৫৯ রানে ফিরতে হয় তাকে। জাকের আলীকে নিয়ে বাকিটা সারেন হৃদয়। প্রত্যাশিত জয় নিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করে লিটন বাহিনী।
এর আগে, ম্যাচে টস ভাগ্য লিটন দাসেরই পক্ষে ছিল। তবে পিচের আচরণ বুঝতে নিলেন ফিল্ডিং। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিয়মিত একাদশই মাঠে নামিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের তৃতীয় বলেই জিশান আলির বিপক্ষে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে এ যাত্রায় রক্ষা পান তিনি। খুব বেশি রান করতে না পারলেও জীবন পেয়ে তিনি দলে অবদান রাখেন ৩৪ বলে ৩০ রান। এর আগে অবশ্য দলীয় ৭ রানেই আনশুমান রাথ তাসকিন আহমেদের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
দলীয় ৩০ রানে তৃতীয় ব্যাটার বাবর হায়াত ব্যক্তিগত ১৪ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হন। বাংলাদেশের বোলাররা কিপটে বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না। তৃতীয় উইকেট আসে ইনিংসের ৭১ রানে। জিশান ধরা পড়েন সাকিবের বলে।
অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা ও নিজাকাত খান এরপর দলের হাত ধরেন। নিজাকাত ৪০ বলে ৪২ রান করে রিশাদ হোসেনের কাছে উইকেট বিলিয়ে আসেন। অবশ্য তার আগে অধিনায়ক ব্যক্তিগত ২৮ রানে ধরা পড়েন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে।
বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে থামে হংকংয়ের ইনিংস।
শুরুটা মন্থর গতিতে হলেও, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে আগ্রাসী ভূমিকাতেই। লিটন-হৃদয় জুটিতে মেলে কাঙ্ক্ষিত জয়। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
এফবি