সৃজনশীল বিকাশ ও আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেওয়াও সাহিত্য চর্চার একটি মূল উদ্দেশ্য। সাহিত্যিক তার চিন্তা, অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের পরিচয় ও সত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডস্থ উত্তরণ পাঠাগারে সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণবন্ত এই আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাহিত্য আড্ডায় শুভসংঘ শ্রীমঙ্গল থানার শাখার উপদেষ্টা ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো.সাইফুল ইসলাম, হাজী রাসিদ মিয়া মেহেরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আল আমিন, শ্রীমঙ্গল থানার শাখা বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা মো. তারেক খন্দকার, এম এ রকিব।
এ ছাড়া সাহিত্য আড্ডায় অংশ নেন সাংবাদিক ও কবি সালাহ্ উদ্দিন ইবনে শিহাব, নিয়ামুল হক তরফদার, তপন বৈদ্য, মোশাহিদ আলম, মোহাম্মদ সবুজ আহমদ প্রমুখ।
আড্ডায় সাহিত্যের সামাজিক প্রভাব, সমকালীন প্রেক্ষাপটে তার ভূমিকা ও তরুণদের সাহিত্যবোধ—এই বিষয়গুলো ঘিরে চলে প্রাণবন্ত আলোচনা।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাহিত্য চর্চা মানসিক বিকাশ ঘটায় এবং সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করে।
মেধা ও মনন চর্চার বিকাশে বসুন্ধরা শুভসংঘের এই সাহিত্য আড্ডা যেন নিয়মিত হয় এবং শুভসংঘের পক্ষ থেকে সাহিত্য চর্চায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে যাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
আড্ডায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, সাহিত্য মানুষকে সচেতন করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে শেখায় এবং সমাজকে বদলে দেওয়ার শক্তি জোগায়।
অনুষ্ঠান শেষে শুভসংঘের উপদেষ্টা ও শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম উত্তরণ পাঠাগারের পক্ষ থেকে নিয়মিত সাহিত্য পাঠের জন্য পাঠকের হাতে বই তুলে দেন।
এসআই