দীর্ঘদিনের অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকা দিনাজপুর সরকারি কলেজের সামনের সাইনবোর্ড এবং কলেজ মোড় এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন রূপ দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা। বৃহস্পতিবার ( ১৬ অক্টোবর) 'পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম'-এর অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কলেজ মোড়ের সাইনবোর্ডটি পরিষ্কার করা ছাড়াও সদস্যরা আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন করেন এবং বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক কাজ হাতে নেন। সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং নিজেদের কলেজ ক্যাম্পাসকে সুন্দর রাখার এই উদ্যোগে অংশ নেন শুভসংঘের কলেজ ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছির আরাফাত, সহ-প্রচার সম্পাদক তাহাসিন ওয়ারিদ, দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি অরূপ কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকোনুজ্জামান হৃদয়, সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সহ-সভাপতি প্রদিপা রানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুন নাহার মুক্তা, কার্যকরী সদস্য সজিব ইসলাম এবং কার্যকরী সদস্য ঋষিকেশ রায়সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
কর্মসূচি শেষে নিজেদের অনুভূতি ও লক্ষ্যের কথা ব্যক্ত করেন দুই শাখার প্রতিনিধিরা।
দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছির আরাফাত বলেন, "বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময়ই সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। দিনাজপুর কলেজ মোড়ের এই সাইনবোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার অবস্থায় ছিল, যা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথ হিসেবে বেমানান। আমাদের কলেজ শাখার সদস্যরা শুধু এটি পরিষ্কার করেনি, বরং আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে এনেছে। আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, একটি সুন্দর ও সভ্য সমাজেরও ভিত্তি।
অন্যদিকে, নিজেদের ক্যাম্পাসের পাশে এমন একটি উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিফাত। তিনি বলেন, "আমাদের কলেজ মোড়টি পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই সাইনবোর্ডটি পরিষ্কার করার মধ্য দিয়ে আমরা শুধু একটি প্রতীকী কাজ করিনি, বরং এটি আমাদের অঙ্গীকার যে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস ও পরিবেশকে সুন্দর রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকব। বসুন্ধরা শুভসংঘের একজন সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমাদের এই কাজ দেখে যদি একজন মানুষও সচেতন হন, তবে আমাদের পরিশ্রম সার্থক।
শুভসংঘের সদস্যরা জানান, এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ পথচারীদের মধ্যে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
এসআই