সিলেট: বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই।
এ ছাড়া ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রমজানের আগেই।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে সিলেট পুলিশ লাইনসে ‘নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।
নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটি রাজনৈতিক বিষয়, এ বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। এ বিষয় নিয়ে সরকার বলবে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো কিছু বলা হবে না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, শুধু এটুকুই বলবো।
এনসিপির শাপলা প্রতীক সম্পর্কে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না। এ ছাড়া একটি দলের পক্ষ থেকে যে প্রতীক চাওয়া হয়েছে সেই তালিকায় নেই। তাই সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী শাপলা প্রতীক দেওয়া যাচ্ছে না।
তা ছাড়া সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে দায়বদ্ধ। তাই সবার সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে যেতে চাই। অতীতে অনেককে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললেও তা বাস্তবে হয়নি।
এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ৮ লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে—কীভাবে ভোটকেন্দ্রে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়। সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশ বাহিনীর এ উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য।
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, এসএমপি কমিশনার, পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
এনইউ/আরবি