ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

তিস্তা বাঁচাতে হাজারো মানুষের মশাল প্রজ্বলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৫৯, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
তিস্তা বাঁচাতে হাজারো মানুষের মশাল প্রজ্বলন তিস্তা নদীতীরে মশাল প্রজ্বলন। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, ভাঙন থেকে তীরবর্তী বসতি ও কৃষিজমি রক্ষা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে নদীতীরে মশাল প্রজ্বলন করে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচি পালন করেছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় তিস্তা নদীতীরে পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

একই সঙ্গে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতেও একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। তিস্তা তীরে হাজারো মানুষ জ্বলন্ত মশাল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজার এলাকায় তিস্তা নদীতীরে হাতে জ্বলন্ত মশাল নিয়ে জড়ো হয় হাজারো মানুষ। বাদ্যযন্ত্রের তালে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান তুলে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন তারা। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নদীতীরে দাঁড়িয়ে গলা ছেড়ে তিস্তা নদী বাঁচানোর আকুতি জানান। এ সময় নদীর পানিতে প্রজ্বলিত মশালের আলো প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে জ্বলন্ত প্রতিবিম্ব-যেন তীরবর্তী বাসিন্দাদের দাবির স্ফুলিঙ্গ।

‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে কর্মসূচিতে অংশ নেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিবসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের অংশগ্রহণে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও উজ্জীবিত হয়ে কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে মশাল হাতে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর বলেন, সারা বছর তিস্তায় পানি থাকে না। হুট করে পানি এসে সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। জমি যায়, বাড়িঘর যায়। শত শত মানুষকে নিঃস্ব করেছে এই তিস্তা। এই নদী বাঁচাতে না পারলে এলাকার মানুষও বাঁচবে না। সরকার আমাদের নদী বাঁচিয়ে দিক।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলাসহ রংপুর বিভাগের ১১টি স্পটে তিস্তা নদীতীরে মশাল প্রজ্জ্বলন করে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কয়েকটি জেলায় একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি—অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিস্তার নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক। একই সঙ্গে তিস্তা তীর সংরক্ষণ করে তীরবর্তী হাজারো বাসিন্দার নিরাপদ বসবাস ও কৃষিকাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এগুলো তিস্তা তীরের মানুষের প্রাণের দাবি। নদী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে, কৃষি বাঁচবে, জীববৈচিত্র্য টিকে থাকবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।