নড়াইল: ধারালো অস্ত্র ও সড়কিসহ নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রাম থেকে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে পুঠিমারী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন বিকেলে লাবু তার ভাই বাবলু খান (৬০) এবং ভাতিজা সাজ্জাদুল আলম খান বাপ্পীকে (৪২) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও তাদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন অভিযুক্ত লাবু ও তার ছেলে রাব্বি।
নড়াগাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের হাতলযুক্ত দুটি লোহার সড়কি এবং কাঠের হাতলযুক্ত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই সড়কি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাই এবং ভাতিজাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন লাবু ও তার ছেলে। আহত বাবলু ও তার ছেলে বাপ্পীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, রোববার বিকেলে নড়াগাতী থানার রামপুরা গ্রামের বাবলু খানের বাড়িতে পারিবারিক কলহে স্ত্রী আঞ্জুমান বেগম পপিকে মারধর করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে তিনি (পপি) দৌড়ে দেবর লাবুর উঠানে যান। এখানেও বাবলু তার স্ত্রী পপিকে মারধর করতে গেলে ছোট ভাই লাবু মারধর করতে নিষেধ করেন।
একপর্যায়ে উভয়ের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ও বাদানুবাদ শুরু হয়। এ সময় বাবলু খানের ছেলে বাপ্পি তালের ডাশা দিয়ে চাচা লাবুকে আঘাত করেন। এ সময় লাবু ঘর থেকে হাসুয়া নিয়ে বড় ভাই বাবলুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এরপর সড়কি দিয়ে লাবু ভাতিজা বাপ্পির বুকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন। এ সময় লাবুর ছেলে রাব্বিও বাপ্পিকে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবলু ও তার ছেলে বাপ্পিকে প্রথমে গোপাললঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বাবলু খান ও তার ছেলে বাপ্পি গুরুতর জখম হওয়ার পর পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এসএইচ