ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৩৪, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই  দুধকুমার নদ

গত তিনদিন ধরে উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামে প্রধান-প্রধান নদ নদীর পানি বেড়েছে। দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সেইসঙ্গে বাড়ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিও।  

ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে, এবং কিছু নিচু এলাকার ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদের অববাহিকায় বিভিন্ন চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে ফাঁন্দের চর, নুচনি ও ধাউরারকুটি চরসহ কয়েকটি এলাকা পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

ফাঁন্দের চর এলাকার কৃষক আবুল বলেন, গত দুইদিন থেকে নদীর পানি বাড়ছে। আমার বেশকিছু  ক্ষেতের ধান-পাট তলিয়ে গেছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। পানি আর একটু বাড়লে তা বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করবে।

ধাউরারকুটির বাসিন্দা জালাল জানান, আমাদের এলাকার কিছু বাড়িতে পানি আসতে শুরু করেছে। সকালে যেখানে পানি ছিল না, বিকেলে সেই যায়গাগুলো তলিয়ে গেছে।

ফুলবাড়ি উপজেলার চর গোরক মণ্ডপ আনন্দ বাজার ধরলা নদী এলাকার আজিজুল বলেন, সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বাড়ছে। আর ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচণ্ড পরিমাণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে বিভিন্নভাবে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।  

কুড়িগ্রাম রাজাহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলমান বৃষ্টি পরিস্থিতি আগামীকাল পর্যন্ত চলমান থাকবে, আগামী কালের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বলেন, ইতোমধ্যে প্রতি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও ভলান্টিয়ারদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।