হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, কালেঙ্গা রেঞ্জ ও ছনবাড়ি বিটে দীর্ঘদিন কর্মরত বন কর্মকর্তাদের কর্মস্থল পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১-এর উপসচিব তুষার কুমার পাল স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বন সংরক্ষককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়- প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ রেমা-কালেঙ্গা সংরক্ষিত বন ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমারোহ। তবে এই বনাঞ্চল থেকে প্রায়শই গাছ কাটার খবর আসে।
উভয় বন ও বন্যপ্রাণীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে দীর্ঘদিন কর্মরত কর্মকর্তাদের কর্মস্থল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। কালেঙ্গা রেঞ্জ, ছনবাড়ি বিট ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দীর্ঘদিন কর্মরত কর্মকর্তাদের বদলি করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সেগুন গাছ পাচারের দৃশ্য ধারণ করায় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে দুই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ২ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- সাতছড়ি রেঞ্জের বিট অফিসার মামুনুর রশিদ (৫০) এবং জুনিয়র ওয়াইল্ড স্কাউট নূর মোহাম্মদ (৪২)।
স্থানীয় সাংবাদিক মোজাহিদ মসি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ৩০ আগস্ট সাতছড়ি সংরক্ষিত বন থেকে ১৮ লাখ টাকার চারটি সেগুন গাছ কেটে পাচারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসের পাশে পুকুর পাড়ে চিত্রধারণের সময় মামুনুর রশিদ ও নূর মোহাম্মদ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে তাকে মারধর করেন এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। পরে সাংবাদিক দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পান এবং চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সংবাদকর্মী ত্রিপুরারী দেবনাথকেও মারধর করা হয়।
চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম বাংলানিউজকে জানান, গণমাধ্যমে গাছ কাটার খবর প্রকাশের পর সচিব নিজে আসেন এবং প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করেন। শিগগিরই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে।
আরএ